• Home
  • Shrestho Tutorials

ইন্টারনেট -এ যে সমস্ত ইল্লিগ্যাল কাজ আমরা নিজেদের অজান্তেই করে থাকি !

ইন্টারনেট সম্পর্কে এখন অল্পবিস্তর সবাই পরিচিত।

জীবনের প্রত্যেকটি পদক্ষেপে কোন না কোন কাজে আমরা সকলেই প্রায় ইন্টারনেট কখনো না কখনো ব্যবহার করেছি।

ইন্টারনেট আবিষ্কারের পরে দূর হয়ে গেছে আরো কাছে, জগৎ চলে এসেছে হাতের মুঠোয় এবং আমাদের সকলের মধ্যেই ক্রমশ বেড়েই চলেছে এই ইন্টারনেটের ব্যবহার।

কিন্তু জানো কি, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময়ই অসংখ্য ইল্লিগ্যাল কাজ করে ফেলি আমাদের অজান্তেই

যা থেকে আসতে পারে সমূহ বিপদ  এবং যা থেকে আমাদের জেল পর্যন্ত হতে পারে ।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব এই সমস্ত বিষয় নিয়েই।

[bctt tweet=”ইন্টারনেট -এ যে সমস্ত ইল্লিগ্যাল কাজ আমরা নিজেদের অজান্তেই করে থাকি !” username=”shresthoblog”]

এই আর্টিকেল এর মূল উদ্দেশ্য হল তোমাদের সবাইকে এই কাজগুলো সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যার ফলে তোমরা আরো সচেতন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে ও জীবনের সমস্ত রকম সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবে।

ইন্টারনেট এ আমাদের অজান্তেই করে ফেলা ইল্লিগ্যাল কাজ গুলি কি কি ?

ইন্টারনেট

অনলাইনে উল্টোপাল্টা নাম ব্যবহার করা :

আমরা বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট -এর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে দেখি যে উল্টোপাল্টা নাম ব্যবহার করে অনেক অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে।

তুমি দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবে যে এগুলো কখনোই তাদের আসল নাম নয়।

যেমন- এঞ্জেল প্রিয়া, আকাশের নীল ইত্যাদি ।

এছাড়াও আরো অনেক অ্যাকাউন্ট থাকে যেগুলো অন্য কারো নাম ও অন্য কারোর প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করে তৈরি করা।

অর্থাৎ অন্যের অনুমতি না নিয়ে, অন্য কারোর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেই প্রোফাইল গুলো তে।

যা মারাত্মক রকমের ইল্লিগ্যাল কাজ।

এর ফলে সাইবার ক্রাইমের আওতায় তোমার জেল-জরিমানা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

ইন্টারনেট

টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করা :

এটা শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো কি বলতে চাওয়া হচ্ছে।

ইন্টারনেট এ কোন কিছুরই অভাব নেই ।

আর কোন নতুন মুভি বা হঠাৎ কোন সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হলে আমরা বেশিরভাগই টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করে  আমাদের প্রয়োজন মেটায়।

অনেক সময়ই নতুন মুভি বেরোলেই আমরা টরেন্টে গিয়ে সেটা খুঁজি।

কোন পেইড সফটওয়্যার এর ক্র্যাক ভার্সন টরেন্ট থেকে বেশিরভাগ সময় আমরা ডাউনলোড করে ব্যবহার করি ।

আরও জানো : এবার মঙ্গল গ্রহে পাঠাতে পারবে তোমার নাম ! তাড়াতাড়ি করো !

প্রসঙ্গত উল্লেখ করে রাখি, যেকোনো কপিরাইটেড কনটেন্ট টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করে অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করা ইল্লিগ্যাল কাজের মধ্যেই পড়ে।

এইগুলো সবগুলোই সাইবার ক্রাইমের আওতায়।

অর্থাৎ এগুলো সাংঘাতিক রকমের ইল্লিগ্যাল কাজ ।

যার ফলে কঠোর সাজা হয়ে যেতে পারে তোমার।

ইন্টারনেট

অন্যের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করা :

শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই দেখা যায় একে অন্যের নামে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে ।

খুব সহজেই অন্যকে যে কোন খারাপ কাজের জন্য আকিউস করা হচ্ছে ।

অথবা অশ্লীলভাবে গালাগাল দেওয়া হচ্ছে।

এই সমস্ত জিনিস গুলোই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

কেউ যদি তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, তাহলে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে তোমাকে।

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট এ কপিরাইটেড কনটেন্ট ব্যবহার করা :

অনেক সময় আমাদের প্রয়োজনে যেকোনো ছবি আমরা ইন্টারনেট এ গুগল সার্চ করে ডাউনলোড করে নিই ও প্রিন্ট করে আমাদের যে কোন কাজে ব্যবহার করি।

কিন্তু বললে অবাক হয়ে যাবে এই ধরনের কাজ করা ইল্লিগ্যাল বেশিরভাগ ছবি অথবা ভিডিও ইন্টারনেটে দেখতে পায় তা কপিরাইট করা অর্থাৎ যে কেউ তার ওনারের পারমিশন ছাড়া এগুলোকে ব্যবহার করতে পারেনা।

তাই তুমি যদি এমন কিছু ব্যবহার করে থাকো, তাহলে চাইলে অথবা সুযোগ পেলে অথবা ধরতে পারলে সেই কপিরাইটেড কন্টেন্টের ওনার তোমার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারেন ।

তবে একটু স্মার্টলি সার্চ করলেই অনেক কপিরাইট ফ্রি কনটেন্ট পাওয়া যায় ইন্টারনেটে।

সেগুলো কে ইজিলি ব্যবহার করা যায় তোমার যেকোনো কাজে।

ইন্টারনেট

অন্যের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল হ্যাক করার চেষ্টা :

এ বিষয়ে অনেক সময় দেখা যায় যে বিশেষ কিছু স্বার্থসিদ্ধির জন্য অথবা নিছক মজা করার জন্যই অনেকেই তাদের বন্ধু অথবা বান্ধবীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করে বা হ্যাক করে।

আরও জানো : কীভাবে অজানা WhatsApp Group এ যোগ হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাবে ?

ইন্টারনেট এর এই ব্যাপারটি অত্যন্ত ইল্লিগ্যাল কাজ এবং সাইবার ক্রাইম বিভাগে জানানো হলে অতি সহজেই তারা আইপি অ্যাড্রেস ট্রাক করে বা অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাকারকে খুঁজে বার করতে পারবে।

যার ফলে অত্যন্ত রকমের আইনত জটিলতায় পড়তে হতে পারে তোমাকে।

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট এ নিজের অজান্তেই গুজব ছড়ানো :

গুজব ইন্টারনেট এর এক মহা সমস্যা ! অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ফেসবুকে অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে না জেনে শুনে আমরা গুজবের ফাঁদে পা দিই ও কোনরকম চিন্তাভাবনা না করেই গুজবকে ফরওয়ার্ড অথবা শেয়ার করে দিই।

রিসেন্টলি হোয়াটসঅ্যাপ গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে।

বলা হয়েছে তুমি যদি গুজব ছড়াও তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ তোমার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থাও  নিতে পারবে।

আশা করি তোমরা বুঝেছ ইন্টারনেটে কোন কোন ইল্লিগ্যাল কাজ গুলি আমরা করে থাকি। তাই সাবধান হয়ে যাও ও এক কাজ গুলি করা থেকে বিরত থাকো !

সাবস্ক্রাইব করো, শ্রেষ্ঠ থাকো

আমাদের সমস্ত আপডেট সরাসরি পেতে Facebook , Twitter Instagram ও YouTube -এ তে আমাদের সঙ্গে থাকো, শ্রেষ্ঠ থাকো !

Click Here to Leave a Comment Below 0 comments

Leave a Reply:

error: Content is protected !!