• Home
  • Shrestho Tutorials

দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করো ? তাহলে অবশ্যই চোখের যত্ন নাও এইভাবে !

আমাদের শরীরের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় অঙ্গ হল চোখ। তাতেও আমরা আমাদের চোখের যত্ন ঠিক ঠাক নেওয়া সম্পর্কে সচেতন নয় ।

দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি কারনে আমাদের চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি হয়ে চলেছে।
এই ক্ষতিগুলি এড়িয়ে চলার জন্য বিশেষ বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
আজকের আর্টিকেলে তোমাদের জানাবো এই বিষয়েই ।

চোখের যত্ন

হাতের তালুর সেঁক দাও

তোমার চোখকে স্মার্টফোন অথবা পিসির ক্ষতিকারক এফেক্ট থেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই ফলো করো এই পদ্ধতি।

এর জন্য প্রথমেই তোমার হাতের দুই তালু ঘষতে থাকো একে অপরের সাথে যখনই তালু দুটো অল্প গরম হয়ে যাবে তখন চোখের উপর আলতো করে চেপে ধরে থাকো।

চোখের আরাম এর সাথে সাথে তোমার হাত কব্জি ও কনুইয়েরও ব্যায়াম হবে এই পদ্ধতিতে।

[bctt tweet=”দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করো ? তাহলে অবশ্যই চোখের যত্ন নাও এইভাবে ! ” username=”shresthoblog”]

মাঝে মাঝে ব্রেক নাও  

অনেকক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারের মাঝে বা অনেকক্ষণ পিসিতে কাজ করার মাঝেই কিছুক্ষণের জন্য একটু ব্রেক নিয়ে নাও।

এর ফলে তোমার চোখের উপর চাপ কম পড়বে এবং মনটাও ফ্রেশ হয়ে যাবে নতুন উদ্দীপনায় কাজ করার জন্য।

চোখের যত্ন নেওয়ার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টিপ্স। 

দূরের জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকো 

ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে অনেকক্ষণ কাজের পর, অথবা স্মার্টফোনে অনেকক্ষণ কিছু দেখার পর কিছুক্ষণ দূরের জিনিসের দিকে তাকিয়ে থাকো ও চোখকে বিশ্রাম দাও।

তারপরে আবার তুমি তোমার কাজ শুরু করো।

যা তোমার চোখের উপর চাপ কমিয়ে চোখকে রিলাক্স থাকতে সাহায্য করবে।

প্রচুর জল খাও 

শুনে অবাক লাগলেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপস।

যা তোমার অবশ্যই মেনে চলা উচিত।

আমরা বেশি পরিমাণে জল যত পান করব আমাদের চোখের পাফিনেস তত কমবে এবং চোখ দুটো ততই ভালো থাকবে। 

আরও জানো : ইউটিউব এর ডার্ক মোড কি ? কীভাবে এটি চোখকে বাঁচিয়ে দিতে পারে ?

চোখের পাতা ফেলতে ভুলো না 

সাধারণত প্রতি মিনিটে আমরা 15 থেকে 20 বার চোখের পাতা ফেলি।

কিন্তু যখন স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ অথবা পিসি ব্যবহার করি তখন এটি অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায় ও কমে এসে দাঁড়ায় 6 থেকে 10 বারে।

যা এক কথায় ভয়ঙ্কর।

চোখের পাতা ফেলা এমনিতে খুব  সিম্পল ব্যাপার মনে হলেও, এর ফলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে ও আমাদের চোখ সুস্থ স্বাভাবিক থাকে।

অত্যাধিক মোবাইল অথবা পিসি ব্যবহারের ফলে এই চোখের পাতা ফেলা কমে গিয়ে চোখ শুষ্ক হয়ে যায় ও চোখের মধ্যে সবসময় কর করে কড়কড় করে।

ফলে নানান সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

তাই নিয়মিত চোখের পাতা ফেলতে ভুলো না।

চোখের যত্ন

20-20-20 পদ্ধতি মেনে চলো 

চোখকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে চাইলে 20-20-20  নিয়ম অবশ্যই মেনে চলো।

এই পদ্ধতি অনুযায়ী চোখের যত্ন নিতে 20 মিনিট কম্পিউটার অথবা স্মার্ট ফোন স্ক্রিনে কাজ করার পর সেখান থেকে চোখ সরিয়ে নাও ও 20 ফিট দূরত্বে কোন জিনিসের দিকে 20 সেকেন্ড একটানা তাকিয়ে থাকো।

যদি সম্ভব হয় নিজের জায়গা ছেড়ে কুড়ি পা বাইরে এসো।

এর ফলে শুধুমাত্র চোখই ভালো থাকবে না। তোমার সারা শরীরে  ব্লাড সার্কুলেশনও বাড়বে।

 

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাও 

আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গের মতো আমাদের চোখেরও বিশ্রামের প্রয়োজন যা সংঘটিত হয় পর্যাপ্ত ঘুমের মধ্য দিয়ে।

তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত জরুরী এবং  শোয়ার বিছানায় স্মার্ট ফোন নিয়ে যাওয়া একদমই অনুচিত।

 

পুষ্টিকর খাবার খাও 

তোমার চোখ ঠিক রাখা শুধু মাত্র একদিনের ব্যাপার নয়। এটা একটি অভ্যাস।

চোখের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন আমাদের সঠিক ব্যালেন্সড লাইফ স্টাইলের । 

তাই পুষ্টিকর খাবার খাও ধূমপান ও মদ্যপান যতটা সম্ভব কমিয়ে দাও।

পারলে একদমই বন্ধ করে দাও।

নিয়মিত ব্যায়াম করো।

আরও জানো : হোয়াটসঅ্যাপ -এ কার কার সাথে বেশি চ্যাট করেছো তা কীভাবে জানবে ?

চোখে জলের ঝাপটা দাও

অনেকক্ষণ কাজের ফাঁকে চোখে পরিষ্কার ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দাও। এর ফোন চোখ পরিষ্কার থাকবে, অযথা স্ট্রেস পরবে না, আর কাজ করতেও ভালো লাগবে।

প্রয়োজনে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নাও

চোখে কোন রকম সমস্যা হলে অর্থাৎ চোখ দিয়ে জল পরলে বা চোখ কড়কড় করলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নাও। ও তার পরামর্শ মত অবশ্যই চোখের যত্ন নাও।

এছাড়াও

  • ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের অথবা স্মার্টফোনের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস মেনটেন করো।
  • প্রয়োজনে কম্পিউটার গ্লাস নাও !

সাবস্ক্রাইব করো, শ্রেষ্ঠ থাকো

আমাদের সমস্ত আপডেট সরাসরি পেতে Facebook , Twitter Instagram ও YouTube -এ তে আমাদের সঙ্গে থাকো, শ্রেষ্ঠ থাকো !

Click Here to Leave a Comment Below 0 comments

Leave a Reply:

error: Content is protected !!